সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::
কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তে সীমান্ত রক্ষার দ্বাযিত্বে নিয়োজিত বিজিবির চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন দেশে প্রবেশ করছে মরনঘাতী মাদক ইয়াবা। সীমান্ত প্রবেশ করে আসা এসব ইয়াবা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক, মেরিনড্রাইভ সড়ক, ডাকবাংলো-কোটবাজার সড়ক ও সাগর পথ দিয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্নস্থানে। দেশের আনাচে-কানাচে প্রায় প্রতিদিনই ইয়াবা আটকের ঘটনা ঘটলেও মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আসা বন্ধ হয়নি।বরং প্রায় প্রতিদিনই এর সাথে যুক্ত হচ্ছে নিত্যনতুন মুখ। উখিয়া উপজেলার আনাচে-কানাচে ইয়াবা পাচারে নারী পুরুষ, রোহিঙ্গা যুবক,যুবতী থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও জড়িয়ে পড়েছে।আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা আটকের সময় মাঝে মধ্যে পাচারকারী আটক হলেও এর সাথে জড়িত রাঘববোয়াল বা গড়ফাদাররা আটক না হওয়ায় ইয়াবা পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ।
উখিয়ায় মাদক ব্যবসার সাথে সংশি¬ষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,উখিয়া উপজেলার দরগাবিল,ডিগিলিয়া উলুবনিয়া, ধামনখালী, টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া সাম্পানঘাট, টেকনাফ বন্দর, শাহপরীরদ্বীপ, জালিয়াপাড়া, নাইটংপাড়া সাগর পথ ও স্থল পথ দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ পিচ ইয়াবার চালান অনায়াসে পাচার হয়ে উখিয়ার নিদ্দিষ্ট কয়েকটি গুদামে জমা হয়।পরে সুযোগ বুঝে তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যরা এসব ইয়াবা সড়ক পথে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সিন্ডিকেটের হাতে পৌঁছে দেয়। এছাড়াও পর্যটকবেশী কতিপয় পাচারকারী বিলাস বহুল গাড়ীতে করে দেশব্যাপী অভিনব কায়দায় ইয়াবা পাচার করে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন অনেক ক্ষেত্রে পর্যটক মনে করে এসব গাড়ীগুলো তল্লাসীর বাইরে রাখে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে মাসিক চুক্তিতে ম্যানেজের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা ওপেন সিক্রেট ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।ইয়াবা পাচারে যে সিন্ডিকেটের নাম স্থানীয় জনগনের মুখে মুখে তাদের মধ্যে অন্যতম হরিনমারার ফরিদ সিন্ডিকেট, জাদিমুরার হেলাল সিন্ডিকেট, খয়রাতি পাড়ার আতাউল্লা সিন্ডিকেট, কুতুপালংয়ে সুশিল সিন্ডিকেট, নিউ ফরেষ্ট অফিস এলাকার জালু সিন্ডিকেট অন্যতম। উল্লেখিত প্রতিটি সিন্ডিকেটে ৫০ জনের মত যুবক,যুবতী রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে।এদের মধ্যে অনেকেই আবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজের মাধ্যমে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।ফলে ইয়াবা বানিজ্যর লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না বলে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ।এদিকে বিগত বছে শুধুমাত্র ইয়াবা ও মানব পাচার করে উখিয়ার অনেকেই এখন কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছে। নামে বেনামে অনেকে গাড়ী বাড়ী ও সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। এ ব্যাপারে উখিয়া টেকনাফের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল মালেক মিয়া জানান, পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাঝে মধ্যে ইয়াবা পাচারকারীদের আটক করছে। সড়ক পথে সুনিদ্ধিষ্ট তথ্য ছাড়া ইয়াবা আটক করা কঠিন। তবুও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পাঠকের মতামত